রোড অ্যাক্সিডেন্টে First Response এ অ্যাম্বুলেন্সের ভূমিকা
Surokkha
Posted:2025-09-20 19:40:28
দুর্ঘটনার পর প্রথম ৬০ মিনিটকে বলা হয় “গোল্ডেন আওয়ার”। এই সময়টিতে যদি আহত ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যায়, তাহলে বাঁচার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। বিপরীতে দেরি হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, শ্বাসকষ্ট বা শক-এর কারণে রোগী মারা যেতে পারে। তাই দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছানো মানে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানো এবং জীবন রক্ষার সুযোগ অনেক বেড়ে যাওয়া।
অ্যাম্বুলেন্স প্রথমে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যায় এবং রোগীকে উদ্ধার করে। trained paramedic বা attendant থাকলে তারা সাথে সাথেই অক্সিজেন, bandage, bleeding control কিংবা CPR-এর মতো প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারে। এতে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই রোগীর অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল রাখা যায়।
দুর্ঘটনায় আহত রোগীকে নিরাপদে পরিবহন করাও অ্যাম্বুলেন্সের বড় দায়িত্ব। Spine injury, fracture বা head injury রোগীদের বিশেষ কেয়ার নিয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ICU বা Advanced Life Support ambulance-এ ভেন্টিলেটর, cardiac monitor, defibrillator-এর মতো যন্ত্রপাতি থাকে, যা গুরুতর রোগীদের প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করে।
কখনো কখনো অ্যাম্বুলেন্স থেকে হাসপাতালকে রোগীর অবস্থা জানিয়ে দেওয়া হয়। এতে হাসপাতাল প্রস্তুত থাকতে পারে এবং রোগী পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা যায়।
বাংলাদেশে যদিও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ক্রমশ উন্নত হচ্ছে, তবুও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। অনেক অ্যাম্বুলেন্সে trained medical staff থাকে না, আবার ট্রাফিক জ্যামের কারণে সময়মতো পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া অনেক দুর্ঘটনা এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে দেরি হয়, ফলে প্রাথমিক সেবা না পেয়ে রোগী ঝুঁকিতে পড়ে।
সবশেষে বলা যায়, রোড অ্যাক্সিডেন্টে First Response হিসেবে অ্যাম্বুলেন্স শুধু রোগী পরিবহনের বাহন নয়, বরং জীবন বাঁচানোর প্রথম হাতিয়ার। দ্রুত সেবা, trained staff এবং modern medical equipment থাকলেই দুর্ঘটনায় আহত মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়।